কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে অনেক পেশার মানুষ বেকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের সংসার পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম কষ্টের শিকার হচ্ছেন।
ফারুক হোসেন,কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে অনেক পেশার মানুষ বেকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের সংসার পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম কষ্টের শিকার হচ্ছেন। সরকারী সাহায্যের পাশাপাশি অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে কর্মহীনদের পাশে দাড়াচ্ছেন।
কেউ কেউ না খেয়ে থাকলেও হাত পেতে চাইলে লজ্জাপান। তারপরও তো আমাদেও সমাজের এ শ্রেণীর মানুষের পাশে দাড়ানো উচিত। লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারেনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী সাহেবপাড়া গ্রামের শুকুর বাউল। তিনি করোনা না থাকলে দেশের বিভিন্ন স্থানে গান গেয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করতেন। কিন্তু আজ তা বন্ধ। ২ সন্তান, স্ত্রী, বাবা-মাকে নিয়ে এখন কষ্টে দিনতিপাত করতে হচ্ছে।
একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ আছি সৃষ্টি কর্তার করুনায়। ভালো নেই অর্থনৈতিক অবস্থা। করোনার পুর্বে আমার এক মাত্র উপার্জন ছিল গ্রাম থেকে শহরে গান গেয়ে। বর্তমানে মা-বাবার সংসারে কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে। কোন সহযোগিতা পাইনি। শুধু মাত্র সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধি ভাতা এখন নির্ভর।
রাজবাড়ী শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছে, কি হবে জানি না। যেমন একটা বাদ্য যন্ত্র না বাজালে নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি শিল্পী যদি না কন্ঠে নিয়মিত গান চর্চা করতে না পারে সেও এক সময় গানের জগতে বোবা হয়ে যায়। নিজবাড়ীতে বসে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনার পাশাপাশি এলাকার সমমনা শিল্পীদের নিয়ে গান পরিচর্যা করা ছাড়া উপায় কি।
তিনি বলেন, এই মহামারি মানুষের সৃষ্ট নয়, আল্লাহর প্রদত্ত। যে কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ না করা পর্যন্ত সকলেরই একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অর্থনৈতিক বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের গাও-গ্রামের প্রকৃত পেশার শিল্পীদের আর্থিক সাপোর্ট দিলে তাদের মনোবল হারাবে না।
Monday, June 29, 2020
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment