স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাজারের প্রাণকেন্দ্রে মিষ্টির দোকান, তার পাশেই টেবিলে সাজিয়ে রাখা নিজস্ব খামারে উৎপাদিত খাঁটি দুধ। বড় ফ্রিজেও শীতল করে সংরক্ষণ করে রাখা আছে; দেয়া আছে মোবাইল নম্বর, কেউ ফোন করলেই বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলার হাট নামক বাজারে গেলেই দেখা মিলবে এই দুধ বিক্রয় কেন্দ্রের। করোনাকালে বাজার বন্ধ হওয়ার ফলে ডেইরী খামারিগন যখন দিশেহারা ঠিক তখনই দুধ বিপননের এই কৌশল হাতে নেন কামনা ডেইরী খামারের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন গাজী। আর এই কাজে তাকে সহায়তা করছেন তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে সাব্বির আহমেদ সিয়াম।
আবুল হোসেন গাজী জানান, গত এপ্রিল-মে এই দুই মাসে তিনি সাত হাজার তিন শত বিশ লিটার দুধ বিক্রয় করেছেন; যার বাজার মূল্য পাঁচ লক্ষ বার হাজার চার শত টাকা ।
আবুল হোসেন গাজীর ঘাসের জমি রয়েছে প্রায় ১৪০ শতক। নিজের খামারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র খামারিদের মাঝে নিয়মিত ঘাসের কাটিং বিতরণ করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলা ডেইরী ফার্মারস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজবাড়ী জেলার দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার মতে সরকার গোখাদ্যে ভর্তুকি এবং সরাসরি খামারে প্রণোদনা দিলে খামারিগণ করোনাকালের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে।
রাজবাড়ী সদর ডেইরী এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন গাজী আরও জানান ভবিষ্যতে রাজবাড়ী ডেইরী এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সমগ্র রাজবাড়ী জেলায় এই কার্যক্রম চালু করতে চাই।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ খায়ের উদ্দীন আহমেদ জানান, আমরা শুরু থেকেই এই ধরণের কার্যক্রমের জন্য খামারিদের উৎসাহিত করে আসছি। এছাড়া দুধ থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পন্য যেমন ঘি, মাখন, ছানা, দই তৈরি করে সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে জনাব আবুল হোসেন গাজীর মত অন্যান্য খামারিগনও এগিয়ে আসলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। করোনাকালের এই দুর্যোগকালীন সময়ে সার্বক্ষনিক ভাবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মীগন খামারিদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকবে।
No comments:
Post a Comment