স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিট-১৯ এর ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় ও হালখাতার হিড়িক পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন মানুষ।
সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে ও লকডাউনের কারণে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। তারপরও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করেছে এনজিও গুলো কিস্তি আদায় কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা শুরু করেছে হালখাতার প্রতিযোগিতা। ঘরে ঘরে চলছে হালখাতা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য রয়েছে চাপ। জুনের মধ্যেই বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রাজমিস্ত্রি লুৎফর রহমান, কৃষক মাসুদ রানা, ভ্যান চালক আতিয়ার রহমান বলেন, করোনার কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। লকডাউন না থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। তারপরও এখন কিস্তির চাপের পাশাপাশি চলছে হালখাতার বাড়তি চাপ। সংসার চালানোই হিমসীম খেতে হচ্ছে তারপরও এ সব চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
চা বিক্রেতা ইউসুফ হোসেন, আঃ কুদ্দুস, রায়হান বলেন, করোনার শুরু থেকেই চায়ের দোকান বন্ধ। সামান্য সরকারী সহযোগিতা পেলেও সংসার চালানো এখন কষ্টকর। তাই লকডাউন না থাকায় এখন দোকান খুলতে শুরু করেছি। তবে ওয়ান টাইম গ্লাসে চা বিক্রি করতে বাড়তি টাকা নিতে পারছি না।
কাপড় ব্যবসায়ী আঃ রাজ্জাক, মিলন চৌধুরী বলেন, লকডাউনের কারণে বেচাকেনা বন্ধ থাকায় খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। ঈদের আগে মোকাম করলেও মালামাল বিক্রি করতে পারেনি। এখনও ভালো কেনাবেচা নেই।
মুদিদোকানী মনোয়ার হোসেন বলেন, মহাজনদের দোকানে বাকী থাকার কারণে এখন হালখাতা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ কারণে ব্যবসায়ীরা হালখাতার উপর ঝুকছে।
No comments:
Post a Comment