শাহজাহান হেলাল, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ১৪ জুলাই রোববারঃ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামে অবস্থিত রাম লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ।
২০২০ খ্রিঃ এসএসসি পরীক্ষার্থী সাহারুপ শেখ কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবারে লিখিত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে ডুমাইন রামলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি সহকারী প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের গণীত বিষয়ে নীজ বাড়ীতে প্রাইভেট পড়ান।
নির্বাচনী ও এসএসসি পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিবেন প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছন শিক্ষাথীদের কাছ থেকে। এমনি একজন ২০২০খ্রিঃ এসএসসি পরীক্ষার্থী সাহারুপ শেখ শিক্ষকের প্রলোভনে পরে পরীক্ষায় পাসের আশায় ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের হাতে তুলে দেন। ২০২০ খ্রিঃ এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষা বোর্ড প্রকাশ করলে পরীক্ষার্থী সাহারুপ শেখ দেখেন ফেল করেছেন। শিক্ষকের কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন ভাবে তাকে তিনি ঘুরাতে এবং বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন । অবশেষে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারনার লিখিত অভিযোগ দেন।
সহকারী শিক্ষক তপন কুমারের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ বিদ্যালয়ের কাছে বিভিন্ন খরচ বাবদ ৯৪ হাজার টাকা পাবেন বলে দাবী করেন। তাঁর দাবকিৃত টাকা পাবেন সেটাও ছিল তাঁর প্রতারনা বা ভুয়া। বিদ্যালয়ই তাঁর কাছে ৪ হাজার টাকা পাবে।
শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে সরোজমিনে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো.মোহসিন আলী বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি । বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে সভায় বসেছি । দোষি প্রমান হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে বিদ্যালয়ের কাছে টাক পাবে দাবী করেছিলেন সত্য তবে কমিটির তদন্তে প্রমান হয়েছে তিনি কোন টাকা পাবেন না। বিদ্যালয় তার কাছে ৪ হাজার টাকা পাবে সত্যতা শিক্ষার করেন।
প্রধান শিক্ষক প্রভাষ মন্ডল সভাপতির বক্তব্য সমর্থন করে বলেন যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে । অভিযোগ কারী শিক্ষার্র্থীর বক্তব্য আমরা শুনেছি ।
অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের আছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার অভিভাবক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ, দোষি প্রমানিত হলে তাঁরা আমাকে যে শাস্তি দেন আমি মাথা পেতে নিবো ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারমিস সুলতানার কাছে এ বিষয়ে তাঁর মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আামর জানা নাই আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম । সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে সে কারনে আামর কিছুই বলার নাই ।
No comments:
Post a Comment