বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
ফারুক হোসেন,বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কমপ্লেক্্ের ১৩ নভেম্বর শুক্রবার সকালে বাংলা সাহিত্যের মুসলিম ধারার দিকপাল, কালজয়ী ঔপন্যাসিক, নাট্যকর, প্রাবন্ধিক ও বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের পক্ষে রাজবাড়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরোয়ার আহম্মেদ সালেহীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আবু দারদা, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীস্থলে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
উল্লেখ্য যে, ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর এই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলায়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাঙ্গালি জাতির মুসলিম সমাজের প্রথম প্রবাদপ্রতিম ও জনপ্রিয় এই লেখক গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি গ্রন্থ রচনা করে গেছেন তিনি। তার রচনা সমগ্রর মধ্যে বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পন, রত্নাবতী, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব, গাজী মিয়ার বোস্তানীসহ উল্লেখযোগ্য রচনা রয়েছে।
মীর মশাররফ হোসেনে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের মাতুলায়ে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে জীবনের শেষ দিনগুলো অতিবাহিত করেন। তার সহধর্মিনী কুলসুম, তার পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও পদমদীর নবাব বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯১২ সালের ১৯ডিসেম্বর পদমদীতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
No comments:
Post a Comment